এটি একটি স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন, যাহা বাংলায় “অন্তর্দীপন স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন” ; সংক্ষেপে “অন্তর্দীপন” এবং ইংরেজিতে “Antardipan Voluntary Social Organisation” সংক্ষেপে “Antardipan” নামে পরিচিত হইবে।
(ক) সংস্থার লোগো হইবে ” দুই হাতের তালুর উপর অন্তর সদৃশ চিত্রের ভিতর দ্বীপ শিখা প্রজ্বলিত এবং উভয় পার্শ্বে একটি করে ধানের শীষ, শীর্ষদেশ অন্তর্দীপন লিখিত এবং নিম্নদেশে প্রতিষ্ঠিত ২০১৯ লিখিত এবং পাতার উভয় পাশে দুটি করে তারকা।
২।(খ) সংস্থার শ্লোগান হইবে “সেবা কল্যাণ উন্নয়নের ব্রত”
ভান্ডারকোট, বটিয়াঘাটা, খুলনা। সংস্থার ঠিকানা পরিবর্তন হলে পরিবর্তিত ঠিকানা এক সপ্তাহের মধ্যে নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ কে অভিহিত করা হবে।
এই সংস্থার কার্য এলাকা প্রাথমিকভাবে খুলনা জেলায় সীমাবদ্ধ থাকবে। পরবর্তীতে নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ক্রমে সমগ্র বাংলাদেশব্যাপী কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা হবে।
সংস্থাটি একটি অরাজনৈতিক ও অলাভজনক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিসেবে 1961 সালের 46 নং (স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ প্রতিষ্ঠান সমূহ রেজিস্ট্রেশন ও নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাদেশ মোতাবেক সমাজের শিশু, যুব, নারী, ভিক্ষুক, রোগী, অসুস্থ ব্যক্তি, শারীরিক ও মানসিক অসমর্থ ব্যক্তিদের কল্যাণে কাজ করবে। সংস্থাটি সমাজ বিরোধী কার্যকলাপে জনগণকে বিরত রাখার উদ্দেশ্যে চিত্তবিনোদন কর্মসূচি গ্রহণ করবে।নাগরিক দায়িত্ববোধ জাগ্রত করিবার উদ্দেশ্যে সামাজিক শিক্ষা, বয়স্কদের শিক্ষা ব্যবস্থা এবং সমাজকল্যাণ কার্যে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করিবে। সমাজ কল্যাণ সংস্থা সমূহের সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর ব্যাপক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে।
মানুষের মানবিক গুণাবলীর উৎকর্ষ সাধন এবং স্বেচ্ছাসেবী কাজের মাধ্যমে সমাজের কল্যাণ ও উন্নয়নে যুব সমাজের সক্রিয় অংশগ্রহণ।
১)বিভিন্ন প্রকারের সচেতনামূলক কর্মসূচির মাধ্যমে যুবকদের স্বেচ্ছাসেবী কাজে আগ্রহী করে তোলা হবে।
২)সকল মানুষের মাঝে বিনামূল্য স্বেচ্ছায় রক্তদান সম্পর্কিত সচেতনতা সৃষ্টি এবং মানুষকে স্বেচ্ছায় রক্তদানে উৎসাহিত করণ।
৩) বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয়, উপজেলা এবং জেলা পর্যায়ে “ফ্রি ব্লাড গ্রুপিং” ক্যাম্প পরিচালনা করা।
৪)নারী-শিশু ও যুবকদের উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করা।
৫) সমাজের ভিক্ষুক ও ভাসমান মানুষের কল্যাণ ও পুনর্বাসন মূলক কাজ করা।
৬)সমাজের প্রতিটি মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নে আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
৭) প্রবীণ জনগোষ্ঠীর নিরাপদ সুখময় জীবন নিশ্চিত করার জন্য সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা।
৮) সমাজের দুস্থদের স্বাস্থ্য পরিচর্যা ও চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ করে তোলা এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা।
৯) কৃষি, মৎস্য, পশু পালন, হাঁস- মুরগির খামার, দুগ্ধ খামার স্থাপন করে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা।
১০) প্রবীণ ও আশ্রয়হীন, ভাসমান জনগোষ্ঠীর পুর্নবাসনের জন্য কল্যাণ তহবিল গঠন করা।
১১) বিশুদ্ধ আর্সেনিকমুক্ত পানি সরবরাহ করা
১২) শিশু বিকাশের জন্য বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ।
১৩) যুব কল্যাণে বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ।
১৪) নারী কল্যাণে বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ।
১৫) শারীরিক ও মানসিক অসমর্থ ব্যক্তিদের কল্যাণে কর্মসূচি গ্রহণ।
১৬) মুক্তচিন্তার বিকাশ এর জন্য পাঠাগার গড়ে তোলা।
১৭) সমাজের প্রতিটি মানুষের উন্নত সংস্কৃতি চর্চার জন্য সাংস্কৃতিক কেন্দ্র গড়ে তোলা।
১৮) সমাজ বিরোধী কার্যকলাপ থেকে জনগণকে বিরত রাখার উদ্দেশ্যে চিত্তবিনোদনের জন্য সাংস্কৃতিক কার্যক্রম গ্রহণ করা।
১৯) নাগরিক দায়িত্ববোধ জাগ্রত করার উদ্দেশ্যে সামাজিক শিক্ষা, বয়স্ক শিক্ষা ব্যবস্থা।
২০) দরিদ্র শিশুদের মধ্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, বস্ত্র বিতরণ এবং শিশুদের সামাজিক নিষ্ঠুরতা থেকে রক্ষা করা।
২১) জনগণের জন্য বহুমুখী সর্বাধুনিক যেকোনো কারিগরী শিক্ষা, বৃত্তি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রদান করা।
২২) প্রতিবন্ধী, দুস্থ্য ও নিম্ন আয়ের লোকদের জন্য বহুমুখী প্রশিক্ষণ সংস্থা এবং ও মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীল কর্মসূচি গ্রহণ।
২৩) সামাজিক উন্নয়নে সামাজিক বনায়ন কর্মসূচি গ্রহণ এবং কৃষি ও পশুপালন হাঁস মুরগির খামার স্থাপন করা।
২৪) পরিবেশ সুরক্ষা এবং জলবায়ু পরিবর্তনে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা।
২৫) পরিবেশ সুরক্ষা এবং জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিরোধে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
২৬) রাষ্ট্রের গৃহীত কর্মসূচী সফল বাস্তবায়নে ও জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করনের সহযোগিতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করা।
ক) উপদেষ্টা সদস্য।
খ) আজীবন সদস্য
গ) প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।
ঘ) সাধারণ সদস্য
ক) উপদেষ্টা সদস্য:- বিশেষ যোগ্যতা ও বিশেষ বিষয়ে পারদর্শী এবং সুদক্ষ বিশিষ্ট অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তি কে সংস্থার উপদেষ্টা সদস্য হিসেবে মনোনীত করা হবে।
খ) আজীবন সদস্য: যেসব বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ প্রতিষ্ঠানের তহবিল এককালীন ২০০০০ ( বিশ হাজার) টাকা প্রদান করবেন তাদেরকে প্রতিষ্ঠানের আজীবন সদস্য হিসেবে মনোনীত করা হবে।
গ) প্রতিষ্ঠাতা সদস্য: যেসব সদস্যগণ সংস্থা স্থাপনের প্রতিষ্ঠাকালীন স্বাক্ষরদাতা হবেন এবং সংস্থার প্রতিষ্ঠার প্রথম উদ্যোগ গ্রহণকরী সকলেই সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে গণ্য হবেন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সাধারণ পরিষদের সদস্য বলে বিবেচিত হবেন।
ঘ) সাধারণ সদস্য: সাধারণ সদস্য/ সদস্যদের যোগ্যতা ধারা মোতাবেক নির্ধারিত হবে।
জন্মসূত্রে বাংলাদেশী নাগরিক নিম্নেবর্ণিত শর্তে এই সংস্থার সদস্য হতে পারবেন-
ক) নিবেদিত স্বেচ্ছাসেবী সমাজকর্মী ও উৎসাহী ব্যক্তি এ সংস্থার সদস্য হতে পারবেন।
খ) নূন্যতম ১৮ বছর বয়স্ক।
গ) উন্নত নৈতিক চরিত্রের অধিকারী হতে হবে ( আদালত কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত নয়)
ঘ) সুস্থ মস্তিষ্কের অধিকারী হতে হবে ( পাগল ও উম্মাদ নয়)
ঙ) সংস্থার আদর্শ, উদ্দেশ্য এবং গঠনতন্ত্র প্রতি অনুগত হতে হবে।
চ) নির্ধারিত মাসিক চাঁদা ও ভর্তি ফি পরিশোধ করতে হবে।
ছ) সংস্থার অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে হবে।
জ) সমাজকল্যাণ ও মানব সেবায় নিবেদিত।
ক) প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সাধারণ সদস্যগণের ভোটাধিকার সংরক্ষিত থাকবে এবং সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মতামত প্রদানের অধিকার ও সংরক্ষিত থাকবে।
খ) সাধারণ সদস্যগণ কর্তৃক সাধারণ সদস্যদের মধ্য থেকে কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন করা হবে।
গ) সংস্থার উন্নয়ন ও সমাজ উন্নয়নে সাধারণ সদস্যগণ মতামত ও সুপারিশ পেশ করবেন বা মতামত প্রকাশ করবেন।
ঘ) সাধারণ সদস্যগণ নিম্নবর্ণিত বিষয়সমূহ অনুমোদন করবেন:-
১) গঠনতন্ত্র পরিবর্তন, পরিবর্ধন ও সংযোজন।
২) বার্ষিক হিসাব প্রতিবেদন।
৩) বার্ষিকী হিসাব ও বাজেট।
৪) কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠন।
৫) ভোটাধিকার প্রয়োগ করা।
ক) কোন ব্যক্তি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করলে এবং তা কার্যকরী কমিটি কর্তৃক অনুমোদিত হলে।
খ) মৃত্যু হলে বা আদালতে অনৈতিক অপরাধে অভিযুক্ত হলে।
গ) প্রতিষ্ঠানের স্বার্থ ও আদর্শ পরিপন্থী কার্যকলাপে লিপ্ত হলে।
ঘ) কোন সদস্য প্রতিষ্ঠান মাসিক চাঁদা একাধিক্রমে ৬ (ছয়) মাস প্রদান না করলে।
ঙ) কোন সদস্য প্রতিষ্ঠানে চাকরি গ্রহণ, বেতন,ভাতা, মুনাফা, সম্মানী এবং কোন প্রকার আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করলে।
চ) গ্রহণযোগ্য কারণ ছাড়া পরপর তিনটি কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় উপস্থিত না থাকলে।
ছ) প্রতিষ্ঠানের কাজের পর পর ছয় মাস নিষ্ক্রিয় ও অকর্মণ্য হয়ে পড়লে।
জ) সদস্যের স্বভাব, আচরণ, মনোবৃত্তি ও কর্মকান্ড প্রতিষ্ঠানের স্বার্থের পরিপন্থী হলে।
ঝ) পাগল ও উন্মাদ প্রমাণিত হলে।
ঞ) আদালত কর্তৃক দেউলিয়া ঘোষিত হলে।
ট) মস্তিষ্ক বিকৃতি ও নৈতিক স্খলনের কারণে ফৌজদারি আদালত কর্তৃক দণ্ডিত হলে।
ঠ) সদস্যের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়লে।
ড) তহবিল তসরুপ করলে এবং অবৈধ চাঁদাবাজি করলে।
ঢ)গঠনতন্ত্র পরিপন্থি কাজ করলে এবং প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমে স্বেচ্ছাচারী হলে।
ণ) সংস্থার পক্ষ হয়ে সংস্থার বিষয়ে কোনো সদস্য পত্রপত্রিকা, সভাসমিতি, সেমিনারে বিবৃতি প্রদানের পূর্বে কার্যকরী পরিষদের অনুমতি গ্রহণ না করলে।
ত) সংস্থার স্বেচ্ছাসেবী, অরাজনৈতিক ও অলাভজনক ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করলে।
থ) সংস্থার কোন সদস্য গঠনতন্ত্র বহির্ভূত ও অবৈধভাবে চাঁদাবাজি ও জনগণের কাছ থেকে ডোনেশন/ অনুদান গ্রহণ করলে।
ক) সংস্থা কর্তৃক নির্ধারিত আবেদন ফরমের মাধ্যমে সভাপতি বরাবর আবেদন করতে হবে।
খ) কার্যনির্বাহী পরিষদ সভায় গৃহীত প্রস্তাব অনুযায়ী সদস্য পদের আবেদনপত্র মঞ্জুর / খারিজ হবে।
গ) সভাপতি আবেদনপত্র অনুমোদনের জন্য কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় পেশ করবেন এবং সাধারণ সভায় অনুমোদন ক্রমে সদস্য খাতায় লিপিবদ্ধ করবেন।
ঘ) কার্যনির্বাহী পরিষদ সবায় সদস্যপদের জন্য আবেদনকারী ব্যক্তির নাম সংস্থার সদস্য হিসেবে গণ্য করা হলে তিন দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে বিষয়টি অবহিত করতে হবে।
ঙ) আবেদনপত্র গৃহীত হওয়ার পর কোষাধক্ষ্যর নিকট সদস্যপদ গ্রহণ ফি ২০০ (দুই শত) টাকা এবং মাসিক সর্বনিম্ন ৫০ ( পঞ্চাশ) টাকা চাঁদা পরিশোধ করে সংস্থার সদস্য ভুক্ত হতে হবে।
গঠনতন্ত্রের ধারা ১১- খ, ঙ, জ,ঞ ,ট, ড ব্যতীত ১১ ধারা অন্যান্য কারণে সদস্যপদ বাতিলের ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে সদস্যপদ বাতিল না করে নোটিশের মাধ্যমে সতর্ক করা হবে। এতে সংশ্লিষ্ট সদস্য সংশোধিত না হলে সদস্যপদ স্থগিত করা হবে। পরে তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হবে। নোটিস এর প্রেক্ষিতে সদস্যদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ থাকবে। সংস্থার সদস্যদের প্রাথমিক সদস্যপদ বাতিলের পর সদস্যগণের জবাব সন্তোষজনক প্রমাণিত হলে কার্যনির্বাহী পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক সদস্যপদ পুনর্বহাল করা হবে।
কার্যনির্বাহী পরিষদের অনুমোদন ক্রমে বকেয়া চাঁদা পরিশোধ করলে এবং ভবিষ্যতে গঠনতন্ত্রের প্রতি অনুগত ও গণতান্ত্রিকভাবে অর্পিত দায়িত্ব পালনে অঙ্গীকারবদ্ধ হলে লিখিত আবেদনক্রমে সদস্যপদ নবায়ন / পুনরায় গ্রহণ করা যাবে।
ক) শাখা কমিটি গঠন কাঠামো:
সংস্থার সংবিধান অনুযায়ী যে এলাকায় শাখা খোলা হবে সে এলেকা হতে সদস্য নিয়ে শাখা কমিটি গঠন করতে পারবে। উক্ত শাখা কমিটি কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং কোষাধ্যক্ষ সহ অপর দু’জন সদস্য সমন্বয়ে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট হবে। শাখা কমিটি কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক অনুমোদিত, নিয়ন্ত্রিত এবং শাখা সাধারণ পরিষদ কর্তৃক নির্বাচিত এবং পরিচালিত হবে।
খ) শাখাসমূহের দায়িত্ব-কর্তব্য ও সুবিধা: কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যেকোনো সময় শাখার কার্যক্রম স্থগিত করা যাবে। এ ব্যাপারে শাখা কমিটির কোনো প্রকার দায়িত্ব ও আপত্তি থাকবেনা। শাখা কমিটি স্থগিতকরণ বিষয়ের সব দায়-দায়িত্ব কেন্দ্রীয় কমিটি হরণ করবে। কেন্দ্রীয় কমিটি কোন শাখার কার্যক্রম স্থগিত করলে উক্ত কারণ উল্লেখ করে ৩৯ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে নিবন্ধীকরণ কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে অবহিত করতে হবে।
গ) শাখা কেন্দ্রীয় অফিস কর্তৃক নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি: শাখা সমূহের জন্য কেন্দ্রীয় পরিষদ কর্তৃক প্রদত্ত কার্যক্রমসমূহ কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক বরাদ্দকৃত বাজেট অনুযায়ী সম্পন্ন করতে শাখা বাধ্য থাকবে।
ঘ) শাখা কমিটি: শাখা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদাধিকারবলে কেন্দ্রীয় সাধারণ পরিষদের সদস্য বলে বিবেচিত হবেন।
ক) উপদেষ্টা পরিষদ
খ) সাধারণ পরিষদ
গ) কার্যনির্বাহী পরিষদ
ক) উপদেষ্টা পরিষদ:- কোন বিশেষ বিষয়ে যোগ্যতা, সুদক্ষ, পারদর্শী এবং অভিজ্ঞতাসম্পন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ নিয়ে এই সংগঠনের উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করা হবে। উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যগণ সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে উপদেশ প্রদান করবেন। সংস্থার কার্যনির্বাহী পরিষদ কার্যনির্বাহী সভার মাধ্যমে আলোচনার ভিত্তিতে পাঁচ সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করতে পারবেন। এই পরিষদের মেয়াদ হবে দুই বছর। সংস্থার গৃহীত উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড সফল বাস্তবায়নে পরিষদ উপদেষ্টা মূলক দায়িত্ব পালন করবেন।
খ) সাধারণ পরিষদ:- সংস্থার সকল সদস্যগণ সাধারণ পরিষদের সদস্য। সাধারণ পরিষদের সদস্য সংখ্যার কোন উদ্যোগ সীমা থাকবেনা।
গ) কার্যনির্বাহী পরিষদ:– সাধারণ পরিষদ ২ বছরের জন্য একটি ৩৭ (একত্রিশ) সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন করবেন।
সভাপতি ১
সহ-সভাপতি ৩
সাধারণ সম্পাদক ১
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ৩
কোষাধ্যক্ষ ১
সাংগঠনিক সম্পাদক ১
যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক ২
দপ্তর সম্পাদক ১
উপ-দপ্তর সম্পাদক ২
প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ১
উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ২
রক্ত বিষয়ক সম্পাদক ১
উপ রক্ত বিষয়ক সম্পাদক ২
যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ১
স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিষয়ক সম্পাদক ১
শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ১
নারী ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক ১
বয়স্ক ও দুস্থ বিষয়ক সম্পাদক ১
তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ১
জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ১
সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ১
নির্বাহী সদস্য ৫
কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যগণ তাদের মেয়াদকালের মধ্যেই পরিষদের পদ শূন্য হলে নিজেরাই সাধারণ পরিষদের সদস্যগণের মধ্য থেকে সাধারণ সভার মাধ্যমে কো-অপ্ট করে শূন্যপদ পূরণ করতে পারবেন। নিবন্ধীকরণ কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে কো-অপ্টকৃত সদস্যের অনুমোদন গ্রহণ করা হবে।
ক) কার্যনির্বাহী পরিষদ সংস্থার সকল ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করবেন এবং এই প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমের সমন্বয় সাধন ও পরিচালনার দায়িত্ব পালন করবেন।
খ) কার্যনির্বাহী পরিষদ উহার সভায় উক্ত সংস্থার যে কোনো সদস্যকে বিশেষ কোনো দায়িত্ব প্রদানের সিদ্ধান্ত নিবেন বা দায়িত্ব প্রদান করবেন।
গ) কার্যনির্বাহী পরিষদ সংস্থার বিভিন্ন প্রকার প্রকল্প গ্রহণ, বাস্তবায়ন ও অর্থ সংস্থানের ব্যবস্থা নিবেন।
ঘ) কার্যনির্বাহী পরিষদের কোন সিদ্ধান্ত সংস্থার মোট কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যদের নূন্যতম দুই-তৃতীয়াংশ অংশের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য কর্তৃক অনুমোদিত হতে হবে।
ঙ) কার্যনির্বাহী পরিষদ প্রতিষ্ঠান তদারকি/ তত্ত্বাবধান সংগঠনের নিয়ম-শৃঙ্খলা সংরক্ষণ, সদস্য আহরণ, বাতিল ইত্যাদি ব্যাপারে দায়িত্ব পালন করবেন এবং সমাজকল্যাণমূলক কাজের তদারকির দায়িত্ব পালন করবেন এবং বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দিবেন।
চ) কার্যনির্বাহী পরিষদ আইনগতভাবে কোনো সদস্যের সদস্যপদ বাতিল করিতে বা নতুন সদস্য গ্রহণ করতে পারবেন। তবে সাধারণ পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক অনুমোদন করবেন।
ছ) কার্যনির্বাহী পরিষদ সকল প্রশাসনিক কাজ পরিচালনা করবেন এবং সংস্থার সকল প্রকার কার্যাবলী সম্বন্ধে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ব্যাপারে পূর্ণ ক্ষমতার অধিকারী হবেন।
জ) সংস্থার বার্ষিক বাজেট প্রণয়ন পূর্বক উহা বার্ষিক সাধারণ সভায় অনুমোদনের জন্য পেশ করবেন।
ঝ) সংস্থার তথা এলাকার স্বার্থে এবং শান্তি-শৃঙ্খলা ব্যাপারে যে কোন আইনগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। তবে উহা সাধারণ সভায় অনুমোদিত হতে হবে।
ঞ) যে কোন কার্য সম্পাদনের জন্য কার্যনির্বাহী পরিষদ বিভিন্ন উপ-কমিটি অথবা সাব-কমিটি গঠন করতে পারবেন।
ট) নিবন্ধনকরণ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ক্রমে সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ করতে পারবেন।
১) সভাপতি
ক) কার্যনির্বাহী পরিষদের সভা, বার্ষিক সাধারণ সভা বা বিশেষ সাধারণ সভা বা অন্য যেকোনো সভায় সভাপতিত্ব করবেন এবং সাধারণ সম্পাদককে সভা আহ্বানের পরামর্শ প্রদান করবেন।
খ) তিনি প্রয়োজনে সংস্থার সভা আহবান করবেন।
গ) তিনি প্রতিষ্ঠান সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা ও পরিচালনার নিয়মাবলী নির্ধারণ করবেন।
ঘ) প্রতিষ্ঠানের নিয়োগকৃত কর্মকর্তা ও স্বেচ্ছাসেবীদের অর্পিত কাজে উৎসাহ , সহযোগিতা ও পরামর্শ প্রদান করবেন।
ঙ) তিনি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে অন্য যেকোনো প্রতিষ্ঠানের চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর দাতা হবেন।
চ) তিনি সকল বিভাগীয় কর্মকর্তাদের কাজের তদারকি, পরামর্শক ও উৎসাহ প্রদান করবেন এবং যেকোন সভা / সিম্পোজিয়াম/ সেমিনারে সংস্থার পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করবেন । তিনি সংস্থার পক্ষে যেকোনো অতিথিকে অভ্যর্থনা ও সাক্ষাৎকার প্রদান করবেন।
ছ) তিনি সংস্থার কার্যবিবরণী অনুমোদন করবেন।
জ) তিনি সংস্থান সকল ব্যয় ভাউচার অনুমোদন করবেন।
ঝ) সকল কার্যাবলী তদরকী ও পরামর্শ প্রদান করবেন।
ঞ) প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি রক্ষার্থে সর্বদা তৎপর থাকবেন।
ট) কোন কর্মকর্তার অনুপস্থিতিতে তার কাজ পরিচালনার জন্য তিনি কার্যকরী পরিষদের অন্য কোনো সদস্যকে মনোনয়ন দিতে পারবেন।
২) সহ-সভাপতি
ক) তিনি সভাপতির সকল কাজে সহযোগিতা করবেন।
খ) সভাপতির অবর্তমানে তার দায়িত্ব পালন করবেন।
গ) নির্বাহী পরিষদের অর্পিত দায়িত্ব সম্পাদন করবেন।
৩) সাধারণ সম্পাদক
ক) তিনি সংস্থার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের হিসাব সংরক্ষণ করবেন এবং কার্যনির্বাহী পরিষদের ও সর্বপ্রকার সাধারণ সভার কার্যবিবরণী সংরক্ষন করবেন।
খ) প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক কার্যক্রমের প্রতিবেদন তৈরি করা এবং কার্যনির্বাহী পরিষদের অনুমোদনক্রমে সাধারণ সভায় পেশ করা, প্রচার করা এবং সংস্থার অন্যান্য কার্যক্রম জনসমক্ষে তুলে ধরা।
গ) সংস্থার সদস্য গনের তালিকা সংরক্ষণ করা এবং সংস্থার কার্যক্রম সম্বন্ধে তাদের অবহিত করবেন।
ঘ) সহযোগী ও সহকর্মীদের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করা/ ব্যবস্থা করা ও সংগঠনের নথিপত্র সংরক্ষণ করা এবং সভার কার্যবিবরণী লিপিবদ্ধ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
ঙ) সভাপতির পরামর্শক্রমে সংস্থার সকল সভা আহবান করবেন এবং সবার দিন তারিখ নির্ধারণ করবেন।
চ) তিনি সংস্থার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের জন্য স্টকবুক সংরক্ষন করবেন।
ছ) বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রতিষ্ঠানের আর্থিক কার্যক্রম ও বার্ষিক রিপোর্ট পেশ করবেন।
৪) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক
ক) তিনি সাধারণ সম্পাদকের সকল কাদের সহযোগিতা করবেন।
খ) সাধারণ সম্পাদকের অবর্তমানে তার দায়িত্ব পালন করবেন।
গ) নির্বাহী পরিষদের অর্পিত দায়িত্ব সম্পাদন করবেন।
৫) কোষাধক্ষ্য
ক) তিনি প্রতিষ্ঠানের সকল প্রকার অর্থ, চাঁদা ও সকল প্রকার দান-অনুদান রশিদের মাধ্যমে গ্রহণ করবেন।
খ) তিনি প্রতিষ্ঠান যাবতীয় বিষয়ে হিসাব-নিকাশ রেকর্ড মূলে সংরক্ষণ করবেন।
গ) তিনি সংগঠনের বার্ষিক বাজেট প্রণয়নে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে সকল প্রকার সহায়তা করবেন।
ঘ) তিনি বার্ষিক সাধারণ সভায় বার্ষিক খরচের হিসাব উপস্থাপনা এবং বাজেট প্রণয়ন ও বার্ষিক বাজেট অনুমোদনের জন্য কার্যনির্বাহী পরিষদ কে সার্বিক সহযোগিতা করার দায়িত্ব পালন করবেন।
ঙ) তিনি সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের পরামর্শক্রমে ব্যাংক ও অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠান সাথে প্রতিষ্ঠানের অর্থ সংক্রান্ত বিষয়ে সর্বদা যোগাযোগ বজায় রাখবেন।
চ) প্রাপ্ত টাকা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সংস্থার সংশ্লিষ্ট হিসাব নম্বরে জমা প্রদান করে জমার বিষয়টি সভাপতি/সাধারণ সম্পাদককে অবহিত করবেন।
৬) সাংগঠনিক সম্পাদক
ক) তিনি সংস্থার সাংগঠনিক বিষয়ক দায়িত্ব পালন করবেন।
খ) সদস্যদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব বন্ধনের সম্পৃক্ততা আনায়নে বিভিন্ন ধরনের কৌশল গ্রহণ করবেন।
গ) সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের কাজে সহযোগিতা করবেন।
ঘ) নির্বাহী পরিষদের অর্পিত দায়িত্ব সম্পাদন করবেন।
৭) দপ্তর সম্পাদক
ক) তিনি সংস্থার দপ্তর বিষয়ক দায়িত্ব পালন করবেন।
খ) সাধারণ সম্পাদকের কাজে বিশেষভাবে সহযোগিতা করবেন।
গ) নির্বাহী পরিষদের অর্পিত দায়িত্ব সম্পাদন করবেন।
৮) উপদপ্তর সম্পাদক
ক) তিনি দপ্তর সম্পাদকের সকল কাজের সহযোগিতা করবেন।
খ) দপ্তর সম্পাদকের অবর্তমানে তার দায়িত্ব পালন করবেন।
গ) নির্বাহী পরিষদের অর্পিত দায়িত্ব সম্পাদন করবেন।
৯) প্রচার সম্পাদক
১০) উপ প্রচার সম্পাদক
১১) রক্ত বিষয়ক সম্পাদক
১২) উপ রক্ত বিষয়ক সম্পাদক
১৩) যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক
১৪) স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিষয়ক সম্পাদক
১৫) শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক
১৬) নারী ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক
১৭) বয়স্ক ও দুস্থ বিষয়ক সম্পাদক
১৮) তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক
১৯) সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক
২০) জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক
ক) সংস্থার স্বার্থে সাধারণ পরিষদ যে কোনো বৈধ সিদ্ধান্ত ও ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন এবং গৃহীত সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে। প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সহ সাধারন সদস্য কর্তৃক কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠিত হবে।
খ) এই সংস্থার নিবন্ধীকরণের ১৮ (আঠারো) মাসের মধ্যে বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
গ) সংস্থার সাধারণ পরিষদ কর্তৃক নিযুক্ত বা মনোনীত কর্মী পর্যবেক্ষক হিসেবে কার্যনির্বাহী পরিষদের অন্যান্য সবায় উপস্থিত থাকতে পারবেন কিন্তু তাদের কোন ভোটাধিকার থাকবে না।
ঘ) গত সাধারণ সভার কার্যবিবরণী পাঠ অনুমোদন করা।
ঙ) সর্বপ্রকার রিপোর্ট পেশ ও আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ।
চ) উপ বিধি সংশোধন (যদি থাকে)।
ছ) মুলতবি প্রস্তাব/ বিবিধ।
জ) সংস্থার যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কার্যনির্বাহী পরিষদ কে সাধারণ পরিষদের মতামত গ্রহণ করতে হবে।
ঝ) কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য নির্বাচনের সাধারণ পরিষদ দায়িত্ব পালন করিবেন।
ক) সাধারণ সভা
কমপক্ষে বছরে একবার সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে এবং তবে উহা বার্ষিক সাধারণ সভা রূপে গণ্য হবে। তবে বিশেষ জরুরী প্রয়োজনে বিশেষ সাধারণ সভা আহ্বান করা যাবে। সাধারণ সভা ১৫ (পনের) দিনের নোটিশের সময়, তারিখ ও স্থান উল্লেখ করে আহ্বন করা হবে।সাধারণ সভায় নিম্নলিখিত বিষয়গুলি অনুমোদন লাভ করবে।
১) প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক প্রতিবেদন।
২) বার্ষিক বাজেট ও হিসাব।
৩) বার্ষিক সাধারণ সভায় সংস্থার আয়-ব্যয়ের অভ্যন্তরীণ অডিটের জন্য অডিটর মনোনয়ন করা।
৪) সংস্থার গঠনতন্ত্র ধারা-উপধারা পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা সংযোজন।
৫) সভার সিদ্ধান্ত সদস্যের ন্যূনতম দুই-তৃতীয়াংশের উপস্থিতিতে কোরাম পূর্ণ হবে। কোরাম পূর্ণ সভার সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের প্রস্তাব সভায় সিদ্ধান্ত হিসেবে গৃহীত হবে।
খ) কার্যনির্বাহী পরিষদের সভা
১) বছরে কমপক্ষে কার্যনির্বাহী পরিষদের ৬ (ছয়) টি সভা অনুষ্ঠিত হবে।
২) ন্যূনতম ৭ (সাত) দিন পূর্বে সময়, তারিখ ও স্থান উল্লেখপূর্বক সভার নোটিশ জারি করতে হবে। ন্যূনতম দুই-তৃতীয়াংশ কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যদের উপস্থিতিতে কোরাম পূর্ণ হবে। কোরাম পূর্ণ সভার সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের প্রস্তাব সভায় সিদ্ধান্ত হিসেবে গৃহীত হবে।
গ) জরুরী সভা
জরুরী সভা ৩ (তিন) দিনের নোটিশে সময়, তারিখ ও স্থান উল্লেখ করে আহব্বান করা যাবে। মোট সদস্যের ন্যূনতম ৫০ (পঞ্চাশ) শতাংশ এর উপস্থিতিতে কোরাম পূর্ণ হবে। কোরাম পূর্ণ সভার সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের প্রস্তাব সভায় সিদ্ধান্ত হিসেবে গৃহীত হবে।
ঘ) বিশেষ সাধারণ সভা
যে কোন বিশেষ কারণে সাধারণ সভা ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে নোটিশে আহ্বান করা যাবে। তবে এ সভায় বিশেষ এজেন্ডা ছাড়া অন্য কোন বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। বিশেষ এজেন্ডার উদ্দেশ্য লিপিবদ্ধ করে যথারীতি নোটিশ প্রদান করতে হবে। সদস্যের ন্যূনতম দুই-তৃতীয়াংশ এর উপস্থিতিতে সম্পন্ন হবে। সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের প্রস্তাব সভার সিদ্ধান্ত হিসেবে গৃহীত হবে।
ঙ) মুলতবি সভা
১) কোরামের অভাবে মুলতবি সাধারণ সভা মুলতবির তারিখ থেকে পরবর্তী ২১ দিনের মধ্যে সভা সম্পন্ন করতে হবে। মুলতবি সভার তারিখ হতে ৭ দিনের মধ্যে নোটিশ জারী করতে হবে। অনুষ্ঠিত সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত মোট সাধারণ পরিষদ সদস্যদের নূন্যতম দুই-তৃতীয়াংশ এর সিদ্ধান্তক্রমে চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে
২) কার্যনির্বাহী পরিষদের সভা সাত দিনের নোটিশে দুইবার কোরামের অভাবে মুলতবি হলে তৃতীয়বার তিন দিনের নোটিশে অনুষ্ঠিত সভার কোরাম পূর্ণ না হলেও যত জন সদস্য উপস্থিত থাকবেন তাদের নিয়েই মূলতবী অনুষ্ঠিত হবে এবং সভার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।
চ) তলবি সভা
১) কোন বিশেষ উদ্দেশ্য বা পরিস্থিতিতে বা গঠনতন্ত্রের বিধান অনুযায়ী সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক সংস্থার সভা আহবান না করলে কমপক্ষে মোট সদস্য ন্যূনতম দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য একজন আহ্বায়ক মনোনীত করে বিশেষ সাধারণ সভার কর্মসূচির এজেন্ডা বা উদ্দেশ্য ব্যক্ত করে স্বাক্ষর করতঃ তলবি সবার আবেদন সংস্থার সভাপতি / সাধারণ সম্পাদকের কাছে জমা দিতে পারবেন।
২) সভাপতি / সাধারণ সম্পাদক কর্তৃক আবেদন প্রাপ্তির ২১ দিনের মধ্যে তলবি সভা আহবান করবেন। তলবি সবার আবেদন প্রাপ্তির ২১ দিনের মধ্যে সভাপতি / সাধারণ সম্পাদক কর্তৃক তলবি সভা আহব্বান না করলে ২১ দিনের মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ হতে পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে ১৫ দিনের নোটিশে সাধারণ সদস্যগণ একজন আহব্বায়কের নেতৃত্বে সভা আহ্বান করতে পারবেন। মোট সদস্যের দুই-তৃতীয়াংশ এর উপস্থিতিতে সম্পূর্ণ কোরাম পূর্ণ হবে। কোরাম পূর্ণ সভার সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের প্রস্তাব সভার সিদ্ধান্ত হিসেবে গৃহীত হবে। তলবি সভা সংস্থার কার্যালয় আহবান করতে হবে।
নিন্মলিখিতভাবে সংস্থার তহবিল সংগ্রহ করতে পারবেন।
ক) ভর্তি ফি।
খ) সদস্য চাঁদা।
গ) এককালীন সদস্য চাঁদা।
ঘ) এককালীন সদস্য অনুদান।
ঙ) কোন বিশেষ ব্যক্তি / প্রতিষ্ঠানের অনুদান।
চ) সরকারি অনুদান।
ছ) প্রতিষ্ঠানের আয় বৃদ্ধি করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা।
ক) সংস্থার আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে এলাকাস্থ বা দেশের যেকোনো সিডিউল ব্যাংকে সংস্থা নামে একটি সঞ্চয়ী / চলতি হিসাব খুলতে হবে।
খ) উক্ত সঞ্চয়ী / চলতি হিসাব নম্বর সংস্থার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং কোষাধ্যক্ষ এই তিনজনের মধ্যে যে কোন দুইজনের যৌথ স্বাক্ষরে হিসাব পরিচালিত হবে।
গ) সংস্থার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পরামর্শক্রমে কোষাধক্ষ্য চলমান খরচ নির্বাহের জন্য ১০ হাজার টাকা হস্ত মজুদ রাখতে পারবেন । হস্তে মজুদের টাকা খরচের পর তা পরবর্তী কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে।
ঘ) আর্থিক বছর শেষে তহবিলের অর্থ বা জমাকৃত তহবিলের অর্থ সদস্যদের মধ্যে বন্টন করা যাবে না। শুধুমাত্র সংস্থার আদর্শ ও উদ্দেশ্য অর্জনে এবং কর্মসূচি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কল্যাণমুখী, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও অসহায়দের কাজে খরচ করা যাবে।
ঙ) সংস্থার প্রয়োজনীয় অর্থ খরচের পূর্বে উত্তোলনের জন্য কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় অনুমোদন গ্রহণ করা হবে।
চ) সংস্থার নামে সংগৃহীত অর্থ কোন অবস্থাতে হাতে রাখা যাবে না। সংগৃহীত অর্থ প্রাপ্তির 72 ঘণ্টার মধ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে জমা দিয়ে জল রশিদ সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করতে হবে।
ছ) সকল ব্যাংক লেনদেন ক্ষেত্রে ব্যাংকিং নীতিমালা অনুসরণ করা হবে।
কার্যনির্বাহী পরিষদ
ক) নির্বাচনের পূর্বে অবশ্যই নিবন্ধনকারী কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে।
খ) সাধারণ সদস্য বৃন্দের প্রস্তাব ও সমর্থন / হস্ত উত্তোলন পদ্ধতি / আলাপ-আলোচনা / গোপন ব্যালটের মাধ্যমে কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচিত হবে। কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠন করে এক মাসের মধ্যে নিবন্ধীকরণ কর্তৃপক্ষের নিকট হতে অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে নিবন্ধীকরণ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের পর এই নির্বাচিত কমিটির চূড়ান্ত বৈধতা লাভ করবে।
গ) নির্বাচিত বা মনোনীত হওয়ার দিন হতে পরবর্তী দুই বছরের মেয়াদ পর্যন্ত কার্যনির্বাহী পরিষদের মেয়াদ কাল বলবৎ থাকবে।
নির্বাচন কমিশন
সংস্থার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন না এমন তিনজন বিশিষ্ট ব্যক্তির সমন্বয়ে সাধারণ পরিষদ কর্তৃক নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে। প্রয়োজনে নিবন্ধীকরণ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে। নির্বাচনের পর নির্বাচন কমিশন বিলুপ্ত হবে।সংগঠনের নির্বাচনকালীন সময় স্থানীয় সমাজসেবা কর্মকর্তা কে নির্বাচনী পর্যবেক্ষক হিসেবে উপস্থিত রাখা হবে।
এক ব্যক্তি একটি পদে একটি করে ভোট প্রদান করবেন এবং কোন প্রতিনিধির মাধ্যমে ভোট দেওয়া যাবে না। নির্বাচনের ৩০(ত্রিশ) দিন পূর্বে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করবেন। নির্বাচন বিষয়ে কমিশন কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।
ঋণ পরিশোধ
সংস্থা কর্তৃক বিভিন্ন ব্যাংক, অর্থলগ্নী প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য উৎস থেকে গ্রহণকৃত ঋণ পরিশোধ এর দায়দায়িত্ব সংস্থার কার্যনির্বাহী পরিষদ বহন করবে।
অডিট
ক) প্রতি 1 বছর পর পর সংস্থার সকল আয়-ব্যয় সরকার অনুমোদিত কোন অডিট ফার্ম দ্বারা অডিট করতে হবে। বার্ষিক অডিট প্রতিবেদন নিবন্ধীকরণ কর্তৃপক্ষের নিকট দাখিল করা হবে।
খ) সংস্থার আয়-ব্যয় নিরীক্ষার জন্য একটি অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা কমিটি গঠন করা হবে। সংস্থার কার্যনির্বাহী কমিটির সাধারণ সদস্যদের মধ্য থেকে তিন সদস্যবিশিষ্ট নিরীক্ষা কমিটি গঠন করবে। প্রতি আর্থিক বছরে অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা কমিটি সংস্থার আয়-ব্যয় নিরীক্ষা করবে। প্রয়োজনে কার্যনির্বাহী কমিটি অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা কমিটির সদস্য রদবদল করতে পারবে।
সংস্থার কর্মসূচী ও প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগের জন্য কার্য্যনির্বাহী পরিষদ কর্তৃক ৫ (পাঁচ) সদস্য বিশিষ্ট একটি নিয়োগ বোর্ড গঠন করা হবে। লোক নিয়োগের পূর্বে দৈনিক পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। লোক নিয়োগের জন্য চাকরি প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হবে। প্রয়োজনে লিখিত পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। নিবন্ধীকরণ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ক্রমে লোক / জনবল নিয়োগ করা হবে। লোক নিয়োগে কোন জামানত গ্রহণ করা হবে না।
গঠনতন্ত্র সংশোধন
গঠনতন্ত্রের কোন ধারা সংশোধন, সংযোজন, পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করতে হলে সাধারণ সভায় মোট সদস্যের ন্যূনতম দুই তৃতীয়াংশ সদস্যের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটের সমর্থনের মাধ্যমে গৃহীত হবে এবং নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের অনুমোদনে তা কার্যকর হবে।
তহবিল বৃদ্ধি
সংস্থার তহবিল বৃদ্ধিকল্পে যে কোনো বিশেষ প্রকল্প / কর্মসূচি / অনুষ্ঠান গ্রহণ করা হলে সেক্ষেত্রে নিবন্ধীকরণ কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি গ্রহণ করা হবে। গৃহীত প্রকল্প / কর্মসূচি / অনুষ্ঠান শেষে আয়-ব্যয়ের হিসাব বিবরণী নিবন্ধীকরণ কর্তৃপক্ষের নিকট দাখিল করা হবে।
আইনের বাধ্যবাধকতা
অত্র গঠনতন্ত্রে যা কিছু উল্লেখ করা থাকুক না কেন উক্ত সংস্থাটি ১৯৬১ সালের ৪৬ নং অধ্যাদেশের আওতায় এবং দেশের প্রচলিত আইন ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের অনুমোদনক্রমে সকল কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
সংস্থার বিলুপ্তি
যদি কোন অনিবার্য কারণে সংস্থার বিলুপ্তির প্রশ্ন ওঠে তবে সংস্থার সকল দায়-দেনা কার্যনির্বাহী পরিষদ কর্তৃক পরিশোধ করে মোট সদস্যের ন্যূনপক্ষে ৩/৫ সাধারণ সদস্যদের সিদ্ধান্তক্রমে নিবন্ধীকরণ কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করতে হবে। নিবন্ধীকরণ কর্তৃপক্ষ অধ্যাদেশ মোতাবেক বিষয়টির পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
Bhanderkote (Bottola)
Batiaghata, Khulna.
Cell Phone: +8801998406206
Email: antardipan2019@gmail.com